জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটে পৃথক তিনটি মাদক মামলায় নারীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের অর্থদন্ডও করা হয়েছে। এছাড়া আরেকজনের ৫ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ও বিকেলে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এসব রায় দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা পন্ডিতপুর গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে মতিয়ার রহমান ওরফে মনোয়ার, পাঁচবিবি উপজেলার পুর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ডেইজী বেগম, উত্তর গোপালপুর গ্রামের রতন মন্ডল ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের রনি শেখ।
এছাড়া ৫বছর দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জিয়ারুল ইসলাম ওরফে ভুলু পুর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ডেইজীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা বাজার এলাকায় মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ আসে পুলিশের কাছে। এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় মতিয়ার রহমানের দেহ তল্লাশী করে ২০ পিস নেশা জাতীয় এ্যাম্পল ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে পাঁচবিবির নাকুরগাছী এলাকা থেকে ১শ পিস এ্যাম্পুলসহ ইনজেকশন ডেইজী বেগম ও জিয়ারুল ইসলাম ওরফে ভুলুকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাঁচবিবির উত্তর গোপালপুর এলাকা হতে ২০ পিস এ্যাম্পুল ইনজেকশনসহ রনি শেখ ও রতন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় মামলার শুনানি শেষে মতিয়ার রহমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ডেইজী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০হাজার জরিমানা, জিয়ারুল ইসলাম ওরফে ভুলুকে ৫বছর কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা এবং রনি শেখ ও রতন মন্ডলকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামীদের মধ্যে ডেইজী বেগম কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া অন্য সবাই পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
Leave a Reply